মানুষের রক্তে মিশ গেছে প্লাস্টিকের কণা। আর রক্ত থেকে সেই কণা গিয়ে সরাসরি মিশছে পুরুষের শুক্রাণু ও নারীর ডিম্বাণুতে। ফলে আগামী সময়ে যে শিশু জন্ম নিচ্ছে সে ওই প্লাস্টিকের কণা দেহে নিয়েই তৈরি হয়েছে। এমনকি এর প্রভাবে সেই শিশুর দেহে তৈরি হয়েছে নানা ধরণের সমস্যা।
স্পেনের একটি গবেষণাগারে এই মারাত্বক তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে তারা একটি পরীক্ষা করে দেখেন। আর সেখানেই দেখা গেছে- নারীদের দেহে ৬৯ শতাংশ মাইক্রোপ্লাস্টিক রয়েছে এবং পুরুষদের দেহে ৫৫ শতাংশ। এই প্লাস্টিক গিয়ে মিশেছে দেহের প্রধান শক্তি শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুতে। ফলে ফলে নতুন যে শিশু জন্ম নিচ্ছে তার মধ্যে পৃথিবীতে আসার আগে থেকেই প্লাস্টিকের কণা থাকছে। পরবর্তীকালে যখন এই শিশু বড় হয়েছে তখন সে দেহে নানা ধরণের রোগ দেখা দিচ্ছে। এমনকি সামান্য পরিবেশ বদলের পরই সে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
নেদারল্যান্ডের গবেষকরা একটি পরীক্ষা করেছেন। সেখানে তারা বেশ কয়েকজনের দেহে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেছেন। সেখানেও দেখা গেছে রক্তে প্লাস্টিক রয়েছে। এই প্লাস্টিক মানুষ তার খাবার সঙ্গে, পানির সঙ্গে এমনকি শ্বাস নেওয়ার সঙ্গেও দেহে নিয়েছে। যেহেতু প্রচুর সামগ্রী আমরা প্লাস্টিকের প্যাকেটে নিয়ে আসি। তাই সেখান থেকে প্লাস্টিকের কণা অতি দ্রুত সেই খাবারে মিশেছে। সেগুলি এরপর সরাসরি দেহে গিয়ে বাসা করেছে। এগুলি নষ্ট করা যায় না বলে দেহে থাকছে সহজেই। এরপর শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর মধ্যে নিজের ঘর করেছে।
এই প্লাস্টিকের কণা পশুদের দেহে প্রবেশ করলেও তারা পাকস্থলীতে তাকে হজম করে ফেলছে। তবে মানুষের ক্ষেত্রে এটি হচ্ছে না। সেখানে এটি পাকস্থলী থেকে রক্তে মিশছে। আগামীদিনে দেহের ডিএনএ এর মধ্যে এই প্লাস্টিক যে অতি সহজে মিলবে তার আভাস এখন থেকেই মিলছে। ফলে মানুষের জন্মহারে এটি বিরাট প্রভাব ফেলবে।
তথ্য সূত্র: আর্থ ডট কম
Stat News BD – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Stat News BD Offers To Know Latest National And Local Stories.