নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরির ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০২৫ সালের জন্য নতুন সরকারি চাকরি বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ, সহজ এবং সমন্বিত করে তুলবে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে এই খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে বলে জানিয়েছে।
নতুন বিধিমালায় চাকরিপ্রার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে আরও সহজ ও হয়রানিমুক্ত প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। এটি নিশ্চিত করবে যে আবেদন ও নিয়োগের প্রতিটি ধাপে তারা ন্যায্য সুযোগ পাবেন এবং কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতার সম্মুখীন হবেন না।
সরকারি চাকরিতে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে এই বিধিমালা বৈষম্য দূর করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এর ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক হবে, যেখানে যোগ্যতার ভিত্তিতেই প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একজন প্রার্থীকে “অনুপযুক্ত” ঘোষণার নির্দিষ্ট মানদণ্ড নতুন বিধিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কোনো প্রার্থী যদি এমন ঘোষণার সম্মুখীন হন, তবে তাকে যথাযথভাবে জানানো হবে এবং পুনর্বিবেচনার সুযোগও দেওয়া হবে। প্রয়োজনে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তার বিষয়ে পুনঃতদন্ত করতে পারবে।
নতুন বিধিমালা বিসিএসসহ সকল সরকারি চাকরির জন্য প্রযোজ্য হবে। এতে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং এটি ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের আওতায় তৈরি করা হয়েছে।
পিএসসি ২০২৩ সালের নন-ক্যাডার বিধিমালায় কিছু সংশোধন আনতে নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছে, যা পরবর্তী বৈঠকে চূড়ান্ত করা হবে।
নতুন বিধিমালার আওতায় রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষার ধাপগুলো নির্ধারিত হয়েছে:
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
লিখিত পরীক্ষা
মৌখিক পরীক্ষা
উদ্দেশ্য ও সম্ভাবনা
এই বিধিমালা সরকারি চাকরির নিয়োগ ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক, সহজ এবং স্বচ্ছ করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এটি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আরও ন্যায্য ও সুযোগসুবিধাসম্পন্ন একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করবে।
Stat News BD – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Stat News BD Offers To Know Latest National And Local Stories.