এক একটি পিঁয়াজুর ওজন ২ থেকে ৫ কেজি। ফুটন্ত তেলের মধ্যে থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে চাক-চাক এসব পিঁয়াজু। প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামের এ বিশেষ আকৃতি পিঁয়াজু খেতে ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষ। বিশাল আকৃতি এসব পিঁয়াজু শুধু পিঁয়াজ দিয়েই তৈরি। কেউ আসেন পিঁয়াজু খেতে, কেউ আসেন বিশাল আকৃতির পিঁয়াজু দেখতে।
দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী গ্রাম চন্দ্রবাস। এখানে জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের পাশাপাশি পাশের জেলাগুলো থেকেও অনেকে রশিদুলের চাক পিঁয়াজু খেতে আসেন। বিশেষ করে ছুটির দিনে বেশি ভিড় দেখা যায় রশিদুলের দোকানে। পিঁয়াজু কারিগর চন্দ্রবাস গ্রামের রশিদুল বলেন, ছোট থেকেই বাবার সঙ্গে সাধারণ পিঁয়াজুর ব্যবসা করতেন তিনি। বড় হয়ে ভাইদের সঙ্গে ব্যবসা ভাগাভাগি হলে আলাদা কিছু করার চিন্তা করতে থাকেন তিনি।
এক সময় মাথায় আসে বিশেষ আকৃতির বড় সাইজের পিঁয়াজু তৈরির কথা। শুরু থেকেই বিশাল আকৃতির পিঁয়াজু ভোক্তাদের নজর কাড়ে। ক্রেতারা বলেন, সাধারণ ছোট আকৃতির পিঁয়াজুতে অনেক সময় অন্যান্য সবজি মেশানো হয়। কিন্তু রশিদুল প্রকাশ্যে শুধু পিঁয়াজ দিয়েই তৈরি করেন পিঁয়াজু। এ ছাড়া ব্যতিক্রমী আকৃতির কারণেও অনেকে রশিদুলের পিঁয়াজু খেতে আসেন।
স্থানীয়রা বলেন, রশিদুলের পিঁয়াজুর চাহিদা দেখে চন্দ্রবাস বাজারে আরও দুই-একজন বড় আকৃতির চাক পিঁয়াজু তৈরি করেন। কিন্তু রশিদুলের মতো এত পিঁয়াজু কারও বিক্রি হয় না। বিকাল হলেই চন্দ্রবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বাজারে বসে চাক পিঁয়াজুর পসরা।
রশিদুল বলেন, তিনি দৈনিক গড়ে সাত থেকে দশ হাজার টাকার পিঁয়াজু বিক্রি করেন। প্রতি কেজি পিঁয়াজু ৩৫০ টাকা। এতে তার মাসে ২ লাখ টাকার বেশি পিঁয়াজু বিক্রি হয়।
Stat News BD – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Stat News BD Offers To Know Latest National And Local Stories.