রমজান মাস ইসলামের অন্যতম পবিত্র মাস, যেখানে সিয়াম বা রোজা পালনের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি ও সংযমের শিক্ষা দেওয়া হয়। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, যদি কেউ রোজা অবস্থায় বা রাতের কোনো সময় হস্তমৈথুন করে, তাহলে তার পরবর্তী রোজা সহীহ হবে কি না? এই বিষয়ে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
রমজানে হস্তমৈথুন করলে রোজার বিধান
ইসলামিক শরিয়াহ অনুযায়ী, রোজার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সংযম পালন করা। হস্তমৈথুন করা ইসলামে নাজায়েজ বা হারাম হিসেবে গণ্য হয়। যদি কেউ রোজা থাকা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে হস্তমৈথুন করে এবং বীর্যপাত ঘটে, তাহলে তার রোজা ভেঙে যাবে। এক্ষেত্রে তাকে ঐ দিনের রোজা কাযা করতে হবে। তবে যদি ভুলবশত এমন কিছু ঘটে এবং বীর্যপাত না হয়, তাহলে রোজা ভাঙবে না।
হস্তমৈথুনের কারণে কি পরবর্তী রোজা হবে?
যদি কেউ রমজানে রাতে হস্তমৈথুন করে তবে তার পরবর্তী রোজা রাখার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে এ থেকে বিরত থাকা ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী উত্তম। অন্যদিকে, যদি কেউ দিনের বেলায় হস্তমৈথুন করে এবং রোজা ভেঙে ফেলে, তাহলে শুধু কাযা করতে হবে, কাজা ও কাফফারা উভয়ই দিতে হবে না।
রমজানে পবিত্রতা রক্ষা করার উপায়
১. ইবাদতে মনোযোগ দেওয়া: বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত, নামাজ ও জিকিরে মনোযোগী হলে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবৃত্তি থেকে দূরে থাকা যায়। 2. চোখ ও মন সংযত রাখা: যে কোনো ধরনের অশ্লীল বিষয় থেকে নিজেকে দূরে রাখা জরুরি। 3. সঠিক পরিবেশে থাকা: একাকিত্বের বদলে পরিবার ও ধর্মীয় পরিবেশে থাকা ভালো। 4. দেহ ও মনের পবিত্রতা রক্ষা করা: সেহরি ও ইফতারে পরিমিত খাবার গ্রহণ ও সুস্থ জীবনধারা অনুসরণ করলে এমন প্রবণতা কমে।
উপসংহার
রমজান হলো আত্মসংযমের মাস, যেখানে মুসলমানদের উচিত নিজেদের যাবতীয় খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা। হস্তমৈথুন ইসলামে নিষিদ্ধ এবং এটি রোজা থাকা অবস্থায় করলে রোজা ভেঙে যায়। তবে রাতের বেলায় করলে পরবর্তী রোজা রাখার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, সর্বদা পবিত্রতা রক্ষা করাই উত্তম।
Stat News BD – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Stat News BD Offers To Know Latest National And Local Stories.