২০১২ সালে রাজধানীর পশ্চিম রাজা বাজারেে ভাড়া বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। এই ঘটনায় শেরে-বাংলা নগর থানায় মামলা করেছিলেন রুনির ভাই নওশেল আলম। মাছরাঙা টিভির বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জৈষ্ঠ্য প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যার পর পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ ১৩ টি বছর। এতগুলো বছরে বাবা-মা হত্যার বিচার পেল না মেঘ। ৫ ই আগস্টের পর সেই হত্যার রহস্য উদঘাটনে গঠন করা হয় টাস্কফোর্স। তদন্তের অংশ হিসেবে সম্প্রতি ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে।
১৫ জানুয়ারি ঢাকার অদূরে কেরানিগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পরদিন টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই) প্রধান মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে জানান, হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল আহসান সাগর-রুনির বাসায় গিয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি জানান, সেদিন সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তিনি। তখন সামাজিক মাধ্যমে জিয়াউল আহসানকে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি কিছু জানেন কিনা সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়া হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে তার কোনো বক্তব্য আছে কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়।
পিবিআই সূত্র জানায়, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে গঠিত টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা শুক্রবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান এবং প্রায় ২ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এর আগে, গত সোমবার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন(বিএফইউজে) এর সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে রাজধানীর পিবিআই কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। গতবছরের ৩০ ডিসেম্বর এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সূত্র: কালবেলা
Stat News BD – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Stat News BD Offers To Know Latest National And Local Stories.