নেপালে ভয়াবহ বন্যায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৩৮ জনে; তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বন্যায় নেপালের হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কিত এটিই সর্বশেষ তথ্য।
টানা কয়েকদিন ধরে চলমান প্রবল বর্ষণ ও তার জেরে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলের জেরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে নেপালের বিশাল এলাকাজুড়ে শুরু হয় বন্যা। এই দুর্যোগকে আরও তীব্র করে তুলেছে বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক ভূমিধস।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নেপালের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলো। জাতীয় দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, বন্যা এবং ভূমিধসের জেরে নেপালের বিশাল অঞ্চলজুড়ে মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে, অনেক মহাসড়ক এবং রাস্তার চলাচল ব্যাহত হয়েছে, শত শত বাড়ি ও সেতু চাপা পড়েছে বা ভেসে গেছে এবং শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন।
রাজধানী কাঠমান্ডুতে কমপক্ষে ৩৭ জন মারা যাওয়ার পাশাপাশি বিশাল ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। বন্যায় সব হাইওয়ে এবং সংযোগ সড়ক ডুবে যাওয়ায় রাজধানীর সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রা জাতীয় রাজধানী কাঠমান্ডুর সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সংযোগকারী সমস্ত হাইওয়ে এবং সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
শনিবার কাঠমান্ডু উপত্যকায় ১৯৭০ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মূলত ওই বছর থেকেই দক্ষিণ এইশয়ার এই দেশটি প্রথম দেশে বৃষ্টিপাত পরিমাপ এবং রেকর্ড রাখার ব্যবস্থা শুরু করেছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেমাবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উদ্ধারকারী বাহিনীর তৎপরতায় বিভিন্ন বন্যা উপদ্রুত এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ২২২ জনকে উদ্ধার করা করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১৪২ জনকে।
নেপালের পুলিশ, আর্মড পুলিশ ফোর্স এবং সেনাবাহিনী সদস্যরা বন্যার্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের সহযোগিতা করছেন বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার পানিবিদ্যা ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীনস্থ আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিভাগ আবহাওয়া ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং দুর্যোগের ঝুঁকির বিষয়ে নেপালের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আগে থেকেই সতর্ক করেছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এরপরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
পানিবিদ্যা ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যতেও বর্ষার ধরণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আগে সেপ্টেম্বর মাসেই বর্ষা মৌসুমের অবসান ঘটত, তবে ২০১৩ সাল থেকে এটি অক্টোবর পর্যন্ত বিলম্বিত হয়েছে। সূত্র : কাঠমান্ডু পোস্ট
Stat News BD – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Stat News BD Offers To Know Latest National And Local Stories.