সম্প্রতি কলকাতা থেকে আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ নিয়ে দেশটির উত্তরপূর্ব রাজ্য মেঘালয়ের পুলিশ বলছে, তাদের রাজ্যের একটি ফৌজদারি মামলায় পালিয়ে থাকা চারজন বাংলাদেশিকে তারা গ্রেপ্তার করেছে। এরা সবাই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
তবে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে মেঘালয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আছে বলে যে খবর রটেছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন মেঘালয় পুলিশের মহাপরিচালক ইদাশিশা নংরাং।
তিনি জানান, ওই চারজনের বিরুদ্ধে ডাউকি থানার একটা মামলা ছিল। কোনো ধর্ষণের অভিযোগ নেই এদের বিরুদ্ধে। ডাউকি থানায় এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনের সংহিতার চারটি ধারা এবং বিদেশি আইনের ১৪ নম্বর ধারায় অভিযোগ ছিল। সেই মামলাতেই কলকাতা থেকে এদের গ্রেপ্তার করে আনা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া নেতারা হলেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি রিপন ও মহানগর যুবলীগের সদস্য জুয়েল।
যেসব ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে
ভারতীয় আইনে দেখা যায়, ১১৮(১) বিএনএস : এটি বিপজ্জনক অস্ত্র বা উপায় দ্বারা স্বেচ্ছায় ক্ষতি করার সঙ্গে সম্পর্কিত। ধারা ৩০৯(৪) বিএনএস : এটি ডাকাতির শাস্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। যদিও উপধারা (৪)-এর সুনির্দিষ্ট বিবরণ এখানে উল্লেখ করা হয়নি, সাধারণত ডাকাতির মধ্যে চুরি এবং সহিংসতার ব্যবহার বা হুমকি অন্তর্ভুক্ত থাকে। ধারা ৩১০(২) বিএনএস : এটি ডাকাতির সঙ্গে সম্পর্কিত, যা পাঁচ বা তার বেশি ব্যক্তির মাধ্যমে সংঘটিত ডাকাতি। ধারা ৩২৪(৪) বিএনএস : এটি ডাকাতি করতে গিয়ে স্বেচ্ছায় ক্ষতি করার সঙ্গে সম্পর্কিত।
Stat News BD – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Stat News BD Offers To Know Latest National And Local Stories.